আজকে আমরা কোম্পানির মূলধন বা Capital নিয়ে জানবো।
Author: MD Tazul islam
Published on: 14/May/2023
প্রথমে আমরা জেনে নেই কোম্পানি কাকে বলে.?
কোম্পানি হচ্ছে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধিক ব্যক্তি এবং যৌথভাবে মূলধন বিনিয়োগ করে সীমাবদ্ধ দায়ের ভিত্তিতে গঠিত সংগঠন।
প্রতিটি কোম্পানি দেশের আইন মেনে ব্যবসা পরিচালিত করতে হয়। বাংলাদেশে সকল কোম্পানি গুলো "কোম্পানি আইন ১৯৯৪ " অনুয়ায়ী পরিচালিত হয়।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই কোম্পানি সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। বি রিচ ব্রোকারেজ হাউজ হচ্ছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে BO Account ( বিও অ্যাকাউন্ট) খুলে আপনিও ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের যেকোন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারবেন।
শেয়ার বাজারে কোম্পানির ৩ ধরনের Capital বা মূলধন নিয়ে আমরা আলোচনা বেশি শুনতে পাই। এইগুলো হলোঃ
১.Authorized Capital বা অনুমোদিত মূলধন
২.Paid-up Capital বা পরিশোধিত মূলধন
৩.Market Capital বা বাজার মূলধন
-
Authorized Capital বা অনুমোদিত মূলধন কি ?
আইন অনুযায়ী প্রত্যেক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় একটি নির্দিষ্ট মূলধন অনুমোদন করতে হয়। তারপর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ থেকে অনুমোদন নিতে হয়,
এটি অথরাইজড ক্যাপিটাল বা অনুমোদিত মূলধন নামে পরিচিত। অনুমোদিত মূলধন বলতে বুঝায় কোম্পানি ভবিষ্যতে সর্বমোট কি পরিমান মূলধন শেয়ারহোল্ডারদের থেকে নিতে পারবে।
-
Paid-up Capital বা পরিশোধিত মূলধন কি ?
Paid-up Capital বা পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে শেয়ারহোল্ডাররা কি পরিমাণ মূলধন বরাদ্দকৃত শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগ করেছে। পরিশোধিত মূলধন কখনোই অনুমোদিত মূলধনের বেশী হবে না।
যেমন, একটি কোম্পানীর Authorized Capital ৫০০ টাকা হলে তার Paid-up Capital ৫০০ টাকার বেশী হতে পারবে না। যদি Paid-up Capital ৫০০ টাকার বেশী করতে হয় তাহলে প্রথমে Authorized Capital ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে নিতে হবে।
-
Market Capital বা বাজার মূলধন কি ?
কোন কোম্পানির মোট শেয়ারকে তার মার্কেট প্রাইস দ্বারা গুন করলে যে মূলধন পাওয়া যায় তাকে উক্ত কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটাল বা বাজার মূলধন বলে।
উদাহরণ হিসাবে ধরি Be Rich Limited নামের কোম্পানির ১ কোটি শেয়ার আছে। এই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য যদি ৯০ টাকা হয়, তাহলে কোম্পানিটির Market Capital হবে ৯০ কোটি টাকা।
আবার যদি শেয়ার প্রাইস বেড়ে ১০০ টাকা হয় তখন কোম্পানি টির Market Capital হবে ১০০ কোটি টাকা।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীরা মার্কেট ক্যাপিটাল অনুযায়ী কোম্পানি গুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করে থাকে।
১. স্মল ক্যাপ
২. মিড ক্যাপ
৩. লার্জ-ক্যাপ
প্রতিষ্ঠানিক কোন ধরাবাঁধার নিয়ম না থাকলেও বাংলাদেশের সাধারণত বিনিয়োগকারীরা যে সব কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ১ থেকে ২ কোটি বা মার্কেট ক্যাপিটাল ২০০ কোটির নিচে তাদের কে স্মল ক্যাপ বলা হয়।
২০০ থেকে ১ হাজার কোটি টাকার মার্কেট ক্যাপিটাল কোম্পানিকে মিড ক্যাপ বলা হয় এবং লার্জ ক্যাপ বলা হয়।
১ হাজার কোটি টাকার উপরে থাকা মার্কেট ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলোকে।
Tags:
শেয়ার বাজার কোম্পানি Capital মুনাফা