Blogs & Updates

Go Back

কেন বেশীরভাগ মধ্যবিত্তরা সারা জীবনেও ধনী হতে পারেনা জানেন কি ?

Author: Digital Marketing Desk
Published on: 15/Jan/2022

Image

ধনী ও মধ্যবিত্তদের মূল পার্থক্য মুলত তাদের মানসিকতায় -  

কিথ ক্যামেরুন স্মিথ এর লেখা  “দা টপ টেন ডিসটিংসন্স বিটুইন মিলিয়নিয়ার্স অ্যান্ড দ্যা মিডিল ক্লাস”

বইটি  থেকে কয়েকটি কঠিন বাস্তব সত্যি কথা আজ এই ব্লগ টি তে আপনাদের নিকট তুলে ধরেছি, ব্লগ টি একটু বড় হলেও আশা করি শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং আপনাদের সুবিধার্থে এই রিলেটেড ভিডিও আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দিচ্ছি, যাতে করে সমস্ত কিছু আপনি ভিডিও টি দেখেও খুব সহজে বুঝে নিতে পারেন।তো আসুন শুরু করা যাক। 

 

পার্থক্য নাম্বার-১

কোটিপতিরা দীর্ঘমেয়াদি চিন্তাভাবনা করে,  মধ্যবিত্তরা স্বল্পমেয়াদী চিন্তাভাবনা করে । লেখক এর মত অনুসারে আমাদের সমাজকে প্রধানত পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করা যায় 

অত্যন্ত গরীব, 

গরীব, 

মধ্যবিত্ত বা ধনী

এবং অত্যন্ত ধনী।    

এদের মধ্যে প্রতিটি গ্রুপের টাকা সম্পর্কে ধারণা ভিন্ন ভিন্ন, অত্যন্ত গরীব রা শুধুমাত্র আজকের দিনের কথা ভেবে চলে, গরিবরা এই সপ্তাহের কথা ভেবে চলে,  মধ্যবিত্তরা এই মাসের কথা ভেবে চলে ধনীরাই বছরের কথা ভেবে চলে এবং অত্যন্ত ধনীরা এই দশকের কথা ভেবে চলে, তাদের জীবনের লক্ষ্য ভিন্ন ভিন্ন গরিবদের জন্য লক্ষ্য কোন রকমে বেঁচে থাকা মধ্যবিত্তদের লক্ষ্য সুখে থাকা এবং ধনীদের লক্ষ্য থাকে জীবনের সব দিক থেকে সম্পূর্ন স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকা মধ্যবিত্তদের সবকিছু এখনই চাই, কিন্তু ধনী এবং অত্যন্ত ধনী ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে ধৈর্য ধরার অভ্যাস গড়ে তোলে। কোটিপতিরা আজকে সেই কাজগুলো করে যেগুলো অন্যরা কেউ করছেনা,  যাতে আগামীকাল তারা সেইগুলো পেতে পারে,যেগুলো অন্যরা চাইলেও পাবেনা।দশকের হিসেবে চিন্তা-ভাবনা কোটিপতির একটি সফল ব্যবসা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করতে পারে, যেটা দীর্ঘদিন যাবৎ স্থায়ী হয়।আজ থেকে 10 বছর পর আপনি আপনার জীবনটাকে কেমন করে তুলতে চান সেটা নিয়ে ভাবুন এবং সেই হিসেবে প্লান করুন, দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা-ভাবনা করতে পারার জন্য দরকার ধৈর্য। যেমন লেখক এর কথায় ধৈর্য হলো কোটিপতিদের জীবনের অমূল্য সম্পদ, অধৈর্য হল মধ্যবিত্ত জীবনের সবথেকে বড় দায়। এখানে লেখক আমাদের উপদেশ দিয়েছেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি চিন্তাভাবনা করতে হবে। সম্পর্ক, আবেগ, আর্থিক অবস্থা, শরীর, মন সব দিক থেকেই  যাই হয়ে যাক না কেন,  এরকমই একটা মানসিকতা রাখার কথা বলেছেন। 

 

পার্থক্য নাম্বার  ২ 

কোটিপতিরা আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করে মধ্যবিত্তরা জিনিসপত্র এবং অন্য লোকেদের ব্যাপারে আলোচনা করেঃ আপনি কোন জিনিস নিয়ে বেশিরভাগ সময় আলোচনা করেন আইডিয়া, জিনিস, নাকি অন্য লোকের ব্যাপারে ? কোটিপতিরা বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করে এবং নতুন কিছু তৈরি করে, মধ্যবিত্তরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে এবং সেগুলো কে তৈরি হতে দেখে,আর গরিবরা শুধু অন্য লোকেদের ব্যাপারে আলোচনা করে, আর জিজ্ঞেস করে  কিছু কি হয়েছে ? মধ্যবিত্তদের আলোচনার বিষয় হলো গাড়ি খেলাধুলা এন্টারটেইনমেন্ট মিউজিক এবং বিভিন্ন ঘোরার জায়গা, আর কোটিপতিরা সেই গাড়ির কোম্পানির মালিক। যেসব খেলা দেখে মধ্যবিত্তরা সময় কাটায় কোটিপতির সেসব খেলার টিম গুলোর মালিক, যেসব মুভি দেখে মধ্যবিত্তরা সময় কাটায়, কোটিপতিরা সেই সমস্ত মুভি থিয়েটারের মালিক কিংবা সেগুলোর প্রডিউসার।কোটিপতি মিউজিকগুলোর প্রডিউসার আবার  ঘোরার জায়গা গুলোর মালিক ও সেই কোটিপতিরা।মধ্যবিত্তরা তাদের টাকাগুলো কোটিপতিদের মাথা থেকে বেরোনো আইডিয়াগুলোর পিছনে খরচ করেই জীবন কাটিয়ে দেয় ,লাইফে এন্টারটেইনমেন্ট থাকাটাও জরুরি কিন্তু সেটার একটা লিমিট ব্যলান্স থাকা অত্যন্ত দরকার।কোটিপতিরা এন্টারটেইনমেন্ট এনজয় করে কিন্তু সেটা তাদের প্রধান আলোচনার বিষয় কখনোই হয়ে ওঠে না।এইযে মধ্যবিত্তরা খুব সহজেই এন্টারটেইনমেন্টের আসক্ত হয়ে পড়ে তার  কারণ-  নাম, খ্যাতি এইসব জিনিস গুলো তাদের চট করে ইমপ্রেস করে ফেলে,  কিন্তু কোটিপতিরা এই সমস্ত লোক দেখানো জিনিসের প্রতি অত সহজে ইমপ্রেস হয় না।  

 

পার্থক্য নাম্বারে  ৩

কোটিপতিরা পরিবর্তনকে স্বাগত জানায়, মধ্যবিত্তরা পরিবর্তনকে ভয় করে পরিবর্তনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে,  অনেকটা ছোট্ট ঈগল পাখির তার বাসার উষ্ণতার আর আড়ামকে ছেড়ে না বেরোতে চাওয়ার মতো,  কিন্ত ক্রমে মা ঈগল তার নরম উষ্ণ পালক গুলো বাসা থেকে সরিয়ে বাসা সেই উষ্ণ আরামদায়ক পরিবেশটাকে বদলে দিতে শুরু করে।  ছোট্ট ঈগল বুঝতে পারার আগেই, শুকনো কাঠের খোঁচা এসে তার গায়ে লাগতে শুরু করে, তখন  চিৎকার করে সে মা ঈগলকে  প্রশ্ন করে-  মা তুমি আমার সাথে এরকম কেন করছ? মা- ঈগল  তখন বলে, কারণ তোমার উড়তে শেখার সময় এসে গেছে তাই এমন করছি। এটা সত্য যে কষ্টসাধ্য কোন পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েই জীবন আমাদের উড়তে শেখায়। এরপর থেকে যখনই আপনার মনে হবে, এত সমস্যা শুধু আমার সাথেই কেন ?? প্রকৃতি আপনাকে নিরবে সেই উত্তরটাই দেয় যেটা, মা- ঈগল তার বাচ্চাকে দিয়েছিল। মধ্যবিত্তরা পরিবর্তনকে ভয় করে কারন তারা নিশ্চিত হতে পারে না যে সেই পরিবর্তনটাকে তারা আদৌ সামলে উঠতে পারবে কিনা, তাদের পরিবর্তনকে বাধা দেওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল্‌  “ভয়” । ভয়  আমাদের সুযোগ দেখতে পাওয়া থেকে অন্ধ করে তোলে,  মধ্যবিত্তরা মনে করে কোটিপতিরা সব ভাগ্যবান তারা সঠিক সময় সঠিক পরিস্থিতিতে ছিল বলেই কোটিপতি হতে পেরেছে। কিন্তু সঠিক সময় সঠিক পরিস্থিতিতে থাকাটাই যথেষ্ট না,  একমাত্র সঠিক সময় সঠিক পরিস্থিতিতে সঠিক লোক  হতে পারলেই.তবেই সুযোগ টাকে দেখতে পাওয়া যায়।  একমাত্র পরিবর্তনকে স্বাগত জানানোর মনোভাব থাকলেই জীবনের সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো যায়। 

 

পার্থক্য নাম্বার  ৪

কোটিপতিরা ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নেয়, মধ্যবিত্তরা রিস্ক নিতে ভয় পায়।মধ্যবিত্তরা সারাজীবন ঈদুর দৌড়ের পিছনে থাকে, কারণ তারা রিস্ক নিতে ভয় পায়। ঈদুর দৌড় থেকে বাইরে আসার একমাত্র রাস্তা হল রিস্ক নেওয়া। র‍্যাট রেস থেকে বাইরে আসার একমাত্র রাস্তা হলে রিস্ক নেওয়া।কথাটা  খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই একাধিক বার বললাম,  আমি কথাটা আরো বলতে চাই, ইদুর দৌড় থেকে বাইরে আসার একমাত্র রাস্তা হলো রিস্ক নিন, রিস্ক নিন।তবে রিস্ক নেওয়ার মানে এই না  যে অন্ধকারে তীর চালাবেন !! কোটিপতিরা ক্যলকুলেটেড রিস্ক নেয়, ক্যলকুলেটেড রিস্ক তাকেই বলে যখন প্রথমে সেই ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করা হয় এবং তারপর ব্যর্থ হলে কি কি ফলাফল ভোগ করতে হতে পারে সেটা বিচার করে তবেই কোন অ্যাকশন নেওয়া হয়।মধ্যবিত্তদের মতো কোটিপতিদের মধ্যেও ভয় কাজ করে,  তবে- নিজেকে আপনি কিভাবে সামলাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করছে আপনার জীবনে কি কি ঘটতে যাচ্ছে। কোটিপতিরা তাদের ভয় কে জয় করে আর মধ্যবিত্তরা তাদের ভয়ের কাছে পরাজয় স্বীকার করে নেয়। কোটিপতিরা জ্ঞানের সাহায্যে ভয় কে জয় করে, ভয় যদি অন্ধকার হয় তবে জ্ঞান হলো আলো। আলো যেমন অন্ধকার কে মুছে দেয়, জ্ঞান ঠিক তেমনি ভয় কে মন থেকে মুছে দেয়।কোন রিস্ক নেওয়া- উচিত কিনা সেটা ডিসাইড করার সবথেকে সাধারণ উপায় হলো নিজেকে তিনটে প্রশ্ন করা এই তিনটে প্রশ্ন হল 

নাম্বার ১- সবথেকে ভালো কি হতে পারে 

নাম্বার ২- সবথেকে খারাপ কি হতে পারে এবং 

নাম্বার ৩- কি হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি.

সবথেকে খারাপ যেটা হতে পারে সেটাকে মেনে নিয়ে বেঁচে থাকতে পারা যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয় এবং যেটা হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি সেটা যদি আপনাকে আপনার লক্ষ্যের দিকে কিছুটা হলেও এগিয়ে নিয়ে যায় তবে আপনি সেই রিক্সটা নিয়ে এগোতে পারেন।কিন্তু যদি সবথেকে খারাপ যেটা হতে পারে সেটাকে মেনে নিয়ে বেঁচে থাকতে পারাটা  আপনার পক্ষে অসম্ভব হয় এবং যেটা হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি সেটা যদি আপনাকে আপনার লক্ষ্যের দিকে কিছুটা হলেও এগিয়ে না নিয়ে যায় তবে সেরকম রিক্স নেওয়ার  কোন মানেই নেই। তাই এরপর থেকে যখনই আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে যে রিক্সটা নেওয়া ঠিক হবে কিনা নিজেকে এই তিনটি প্রশ্ন করবেন। 

 

পার্থক্য নাম্বার  ৫ 

কোটিপতিরা সব সময় নতুন কিছু শিখতে থাকেন এবং বেড়ে উঠতে থাকেন। মধ্যবিত্তরা মনে করেন শেখার পালা স্কুল শেষ হওয়ার সাথে সাথে শেষ হয়ে গেছে।কখনো ভেবে দেখেছেন কোটি কোটি টাকার বাড়ি গুলোতে বই রাখার জন্য একটা করে আলাদা ঘর কেন থাকে এটা কি নিছকই সব লোক দেখানোর জন্য আমার তা মনে হয় না। বেশিরভাগ কোটিপতি রায় প্রতি সপ্তাহে একটা করে বই পড়েন। কখনো ভেবে দেখেছেন যে বিষয়টা আবিষ্কার করতে হয়তো কয়েক বছর সময় লেগে গেছে সেটা সেই বই পড়ে আপনি মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শিখে ফেলতে পারেন। একটা সাধারন 300 টাকা দামের বইয়ের মূল্য তিন কোটি টাকা হয়ে উঠতে পারে কারণ সেখান থেকে  আপনি যেটা শিখবেন সেটা হয়ত এতটাই অমূল্য। বেশিরভাগ মধ্যবিত্তদের ইনকাম বছরের পর বছর একই লেভেলে থাকে কারণ তাদের জ্ঞান বছরের পর বছর একই লেভেলে থাকে । যেখানে কোটিপতিরা সবসময় নিজের বিকাশের দিকে নজর দেন, তারা এটা বিশ্বাস করেন যে বড় কিছু পেতে হলে আগে নিজেকে বড় কিছু হতে হবে।মধ্যবিত্তরা মনে করে কোটিপতি রা পয়সার পিচাশ, এটা একেবারেই সত্যি না !! কোটিপতিরা তাদের জীবন টাকে ভালোবাসে, তারা টাকা রোজগার করার জন্য যে কাজটা করেন সেই কাজটা কে তারা ভালোবাসেন। জীবনে অনেক টাকা থাকা প্রয়োজন আছে তাই তারা অবশ্যই  টাকাকে ভালোবাসে কিন্তু টাকাকে তারা কখনোই জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসে না। অনেক টাকার  মালিক হলে অবশ্যই ভালো লাগে, আরো ভালো লাগে যখন নিজের প্রিয়জনদের সাথে একটা গভীর সুমধুর সম্পর্ক থাকে,  আর সব থেকে ভালো লাগে যখন জীবন এই সবগুলোই একসাথে থাকে।যদি আপনি নিজের এবং নিজের প্রিয়জনদের থেকেও টাকাকে বেশি ভালবাসেন তবে আপনি টাকার ছলনায় শিকার হয়েছেন এবং প্রকৃত সফলতা কখনই আপনার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব হবে না ।কারণ প্রকৃত সফলতা বলতে জীবনে শান্তি এবং সন্তুষ্টি থাকা অনিবার্য।

টাকার ছলনায় পরতে না চাইলে স্টক মার্কেট  নিয়ে কাজ করতে পারেন, যাদের কাছে শেয়ার মার্কেট এক প্রকার জুয়া খেলার নাম, তাদের কথায় কান না দিয়ে , গভীর ভাবে মার্কেট নিয়ে পড়াশুনা করুন, তালিকাভুক্ত শেয়ার থেকে ভালো শেয়ার বাছায় করা শিখুন-  এই কাজটা আপনার জন্য খুবই সহজ হয়ে যাবে যদি আপনি বিরিচ লি এর অ্যাপ ডাউনলোড করে এটা ব্যবহার করতে পারেন।



Tags: Top 10 Distinctions between Millionaires and the Middle Class digitalbrokeragehouse   stockmarket  CSE  DSE  sharemarket  SharePost  stockbrokeragehouse  berich  onlinetrade Keith cameron Smith 
Go Back