বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৫টি COMMON MISTAKES!!
Author: Sanjir Islam Dewan
Published on: 06/Jan/2022
আপনি যদি আপনার কোনো বন্ধুকে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে আপনার আগ্রহের কথা বলেন, তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে কথাটি শুনবেন তা হলো-
“না না শেয়ার মার্কেট নিয়ে কাজ করা যাবেনা, ওটা তো জুয়া খেলার মতো, ওখানে মানুষ সর্বস্ব হারায়”
কিন্তু আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন তো- দুনিয়ার শীর্ষ ধনী , বিলগেটস, জেফ বেজোস, ওয়ারেন বাফেট, মার্ক জাকারবার্গ কিংবা জ্যাক মা- সবাই তো চুটিয়ে শেয়ার ব্যাবসা করেন , উনারা তো ঠিকই অনেক লাভ করেন , কিন্তু আমাদের দেশে অনেকেই লোকশান কেন করেন ?
আবার, অনেক বিনিয়োগকারীরা প্রায়ই আক্ষেপ করেন, তারা শেয়ার কিনলেই দাম কমে যায়। আর বিক্রি করলে দাম বেড়ে যায়। তারা বুক ভরা হতাশা নিয়েই এই কথাগুলো বলেন। কিন্তু আসলে তারা কি করেন? শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার ব্যাপারটি কি সবার ক্ষেত্রে ঘটে নাকি শুধুমাত্র কারো কারো ক্ষেত্রে ঘটে ? অনেক আশা আর স্বপ্ন নিয়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে অনেকেই ভালো টাকা লাভ করতে পারে আবার অনেকেই বহু টাকা লস দিয়ে শেয়ার বাজার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নিয়ে বের হয়ে যায়। এখানে যে ব্যক্তি লাভ করল এবং যে ব্যক্তি টাকা লস করলো তাদের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আমরা অনেকেই কিছু ভুল করে থাকি এবং সেই সব ভুলগুলো খুবই সাধারণ। আপনি হয়তো এই ভুলগুলো সম্পর্কে ইতিপূর্বে অবগত রয়েছেন তবুও আর একটি বার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য এই ব্লগটি -
নাম্বার ১
শেয়ার কেনার আগে কোম্পানি যাচাই না করে বিনিয়োগ করা,
ধরুন আপনার কাছে এক কোটি টাকা রয়েছে এবং এই টাকা দিয়ে আপনি কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন। আপনি কখনই রাতারাতি চিন্তা করেই কোনো ধরনের বিশ্লেষণ ছাড়া যেকোনো ব্যবসা তে নিশ্চয়ই বিনিয়োগ করে ফেলবেন না। যখন আপনি বিনিয়োগ করবেন তখন ওই ব্যবসায় সম্পর্কে নানা বিষয় আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে ঠিক তেমনই শেয়ার বাজারে যখন আপনি একটি কোম্পানির শেয়ার কিনবেন তখন অবশ্যই কোম্পানি টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে হবে আপনাকে । প্রথমে জানতে হবে কোম্পানিটি কোন ধরনের পণ্য বা সেবা তৈরি করছে , কোম্পানির সুনাম কেমন, কোম্পানির পরিচালক কারা , বর্তমানে কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থা কেমন, সামনের দিনগুলোতে কেমন করতে পারে , কোম্পানি কত টাকা লোন আছে , বিগত বছরগুলোতে কেমন মুনাফা অথবা লোকসান করেছে ইত্যাদি নানা বিষয়ে ।
নাম্বার ২
জরুরি অর্থাৎ ইমারজেন্সি ফান্ড বিনিয়োগ করা,
আপনি হয়ত আপনার ইমারজেন্সি ফান্ড বিনিয়োগ করে চিন্তা করতে পারেন যে একদিনেই তা আপনাকে শেয়ার বাজার থেকে ভালো একটি মুনাফা এনে দিতে পারবে কিন্তু ধারণাটি ভুল।এমন টাকার বিনিয়োগ করতে হবে যা কমপক্ষে এক বছরের জন্য এই টাকা আপনার অলস পরে থাকবে অর্থাৎ এই টাকার প্রয়োজন পড়বে না। বিষয়টা একটু কঠিন হলেও আপনাকে এই নীতি মেনে চলতে হবে।যত বেশি সময়ের জন্য আপনি টাকা বিনিয়োগ করবেন ততই ঝুঁকি কমবে এবং লাভের পরিমাণ বাড়বে।
নাম্বার ৩
লোন বা ধার করে শেয়ার কেনা,
আপনার কাছে যদি মনে হয় কোনো একটি কোম্পানি দুই মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ বা এর থেকে বেশি প্রফিট করতে পারে, তারপরও কখনও লোন বা ধার করে শেয়ার কিনবেন না, কেননা যে কোনো সময় যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। যেহেতু শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকি সর্বদা বিদ্যমান, কাজেই ঝুকি যদি নিতেই হয় তাহলে অবশ্যই নিজের টাকার উপর নেওয়া উচিত, কখনোই অন্যের টাকার উপর নয়।
নাম্বার ৪
একটি কোম্পানির প্রেমে পড়া,
আপনি যখন বিভিন্ন কোম্পানি নিয়ে এনালাইসিস করলেন তখন একটি কোম্পানি আপনার খুবই ভালো লাগলো, যার ফলে আপনি শুধুমাত্র ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবেন বলে ঠিক করে ফেললেন। এর ফলে আপনি কিন্তু মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকবেন।
যখনই সব টাকা একটি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন তখনই আপনার চারদিক থেকে টেনশন এবং ঝুঁকি কাজ করবে। আপনি যত টাকাই বিনিয়োগ করতে চান না কেন তা কমপক্ষে তিন থেকে চারটি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা উত্তম, তবে সাত থেকে আটটি শেয়ারে বিনিয়োগ করা উচিত হবে না, যদি না আপনি নিজে অনেক ভালো পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট না জানেন।
নাম্বার ৫
কেন বিনিয়োগ করছি তা জানিনা,
একটি শেয়ারের দাম হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করল , অনেক মানুষই সেই শেয়ার কিনছে এবং প্রতিদিন তারা লাভ করছে, এবার আমিও সে শেয়ারে বিনিয়োগ করলাম এবং এরপরে ঘটলো উল্টো ঘটনা, দিন দিন সেই শেয়ারের দাম ক্রমাগত কমতে শুরু করলো।
এই ভুল আমাদের দেশের ৭০% বিনিয়োগকারী গণই করে থাকে। আপনি যখন একটি কোম্পানির শেয়ার কিনতে যাবেন তখন অবশ্যই সেই শেয়ারটি কেন কিনছেন তা বুঝতে হবে। আপনি যেই দামে শেয়ারটি কিনছেন তার পিছনে অবশ্যই ভালো যুক্তি থাকতে হবে।
সর্বোপরি বাজার নামক টাকা বানানোর মেশিন থেকে টাকা বানাতে চাইলে সর্বপ্রথম সেই মেশিন চালানোর দক্ষতা গড়ে তুলতে হবে।
আর শেয়ার মার্কেট নিয়ে নিজে কাজ করতে চাইলে - বিরিচ লিঃ এর এ্যাপ ডাউনলোড করে ঘরে বসেই আপনি শেয়ার মার্কেটে লেনদেন করতে পারবেন, এ্যাপটি ডাউনলোড করতে খুব সহজেই, প্লে-স্টোর কিংবা এ্যাপস্টোরে গিয়ে বিরিচ এ্যাপটি খুজে নিন, ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন এবং ওপেন করুন।
আর পিসি কিংবা ল্যপটপ ইউজার হলে তো কথাই নেই, সোজা আপনার ব্রাউজারে www.berichbd.com লিখে ইন্টার করুন , নতুন আইডি করতে সাইন আপ করুন।
সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী যেহেতু বিও একাউন্ট ছাড়া কোনো লেনদেন করা যায়না, তাই ঝটপট বিও একাউন্টের জন্য বিরিচ লিঃ এর ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্টস দিন,ব্যাস হয়ে গেল।
আর হ্যাঁ, আপনার ইন্ট্রোডিউসার কোড হচ্ছে - ১২৩৪, একদমই ভুলে যাবেন না কিন্তু !
আপনার সুবিধার্থে আমরা এই ব্লগ এর পাশাপাশি একটি ভিডিও দিয়ে দিচ্ছি যাতে আলোচিত সমস্থ কিছু খুব সহজেই বুঝে নিতে পারেন ভিডিও এর মাধ্যমে।
Tags:
Investment Share Investment downloadapp IPO onlinetrading ডিজিটালব্রোকারেজহাউস ডিজিটালাইজডব্রোকারেজহাউস digitalbrokeragehouse digitalizedbrokeragehouse stockmarket CSE DSE sharemarket SharePost stockbrokeragehouse berich onlinetrade